বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি জানতে চান?  তাহলে এই আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার জন্য, কেননো আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি জানানোর পাশাপাশি বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। তাহলে দেরি কেন! জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত তথ্য। 

বাংলাদেশের  জনগণের জন্য বুরো বাংলাদেশ একটি বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন লোন পদ্ধতির মাধ্যমে দরিদ্র জনগণের জীবনে আর্থিক স্বাধীনতা নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশেষ করে বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি বেশ সহজ সাশ্রয়ী ও কার্যকরী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।

বুরো বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বুরো বাংলাদেশের লক্ষ্য বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন করা। বর্তমানে বুরো বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ জেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে সেন্টারের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতিতে শুধুমাত্র ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রোফাইনান্স সেবা পাওয়া যায়। যা সাধারণ জনগণকে সহজ শর্তে প্রদান করা হয়। 

বুরো বাংলাদেশ এনজিও পদ্ধতি কি?

বুরো বাংলাদেশ এনজিওলন পদ্ধতি হলো এমন একটি বিশেষ ধরনের লঞ্ঝা মূলত ক্ষুদ্র ঋণ বা মাইক্রোফাইন্যান্স সেবা হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে এই লোনটি মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় শাখার মাধ্যমে লনের আবেদন যাচাই-বাছাই এবং ও কিস্তির পরিশোধ করার পদ্ধতি মূলত বুরো বাংলাদেশ এনজিও তে অনুসরণ করা হয়। বুরো বাংলাদেশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহককে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এ সকল ধাপের মধ্যে রয়েছে: 

  • বুরো বাংলাদেশ থেকে লোন গ্রহণ করার জন্য প্রাথমিকভাবে বুরো বাংলাদেশের আপনার নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন। 
  • শাখায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা সাথে আপনারা চাহিদা অনুযায়ী লোন সম্পর্কিত আলোচনা করুন। 
  • লোনের আবেদন পত্র সংগ্রহ করুন ও পূরণ করুন একই সাথে প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রদান করুন।
  • আপনার আবেদন এর তথ্য ও আপনার সকল নথিপত্র বিবেচনা করে আপনার লোনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুমোদন করা হবে এ লক্ষ্যে আপনি ন্যূনতম ৭ কর্ম দিবস থেকে সর্বোচ্চ ১৪ কর্ম দিবস অপেক্ষা করুন। 

আপনার লোনটি অনুমোদিত হলে আপনাকে, আপনার লোনের আবেদন্ঠিত অর্থ তারা বুঝিয়ে দিবেন ও কিভাবে আপনি লোন পরিশোধ করবেন এ সম্পর্কে আপনাকে তারা বিস্তারিত তথ্য জানাবেন। তবে বুরো বাংলাদেশ এনজিও থেকে লোন গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই লোনের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোনের প্রকারভেদ

আব্বু বাংলাদেশ এনজিও বিভিন্ন প্রকার লোন প্রদান করে থাকে। যা সমাজে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণী মানুষের চাহিদা পূরণ করে থাকে।  এসকল লোনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি লোন: 

  • ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য মাত্র ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের চাহিদা মত লোন প্রদান করে থাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। 
  • কৃষি কাজের জন্য কৃষকদের লোন পালন করে থাকে এই এনজিওটি।
  • মহিলা উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদান করে থাকে। 
  • জরুরী প্রয়োজনে ঋণ প্রদান করে থাকে। 
  • উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে থাকে। 

বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোনের প্রয়োজনীয় নথিপত্র 

বুরো বাংলাদেশ থেকে ঋণ পেতে হলে অবশ্যই আবেদনকারীর বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। এ সকল কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে: 

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পএ বা জন্ম নিবন্ধন সনদ এর ফটোকপি। 
  • আয়ের প্রমাণপএ ( চাকরিজীবি হলে কর্মসংস্থানের সনদ পএ ও ব্যবসা হলে ব্যবসার সনদপত্র) । 
  • বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপএ (ইউনিয়ন পরিষদ সনদ,বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি)। 

এসকল ডকুমেন্টস ছাড়া যদি অন্য কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়, তাহলে বুরো বাংলাদেশ এনজিও এ দায়িত্বরত কর্মকর্তা আপনাকে এ বিষয়ে অবগত করবেন। সাধারণত এসকল ডকুমেন্টস ছাড়া অন্য কোন ডকুমেন্টস তেমন প্রয়োজন হয় না বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া। 

বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন গ্রহণের যোগ্যতা ও শর্তাবলী 

বাংলাদেশের অন্যান্য এনজিও এর ন্যায় বুরো বাংলাদেশ এনজিও থেকে লোন নিতে হলে আবেদনকারীর বেশ কিছু যোগ্যতা থাকা আবশ্যক। এ সকল যোগ্যতা আবেদনকারীকে শর্তাবলী অনুসরণ করতে সাহায্য করে। এসকল শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে: 

  • আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই নূন্যতম ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। 
  • অবশ্যই আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস থাকতে হবে। 
  • আবেদনকারীর আর্থিক লেনদেন অবশ্যই ভালো হতে হবে। 
  • অবশ্যই বাংলাদেশের নিদিষ্ট এলাকার স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। 

বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন যারা পাবেন 

বুরো বাংলাদেশ এনজিওটির প্রধান লক্ষ্য গ্রামীণ পর্যন্ত অসচ্ছল ও মধ্যবিও পরিবারকে সাহায্য করা। আর এই লক্ষ্যে বুরো বাংলাদেশ নিদিষ্ট শ্রেণীর জনগণকে তাদের লোন প্রদান করে থাকেন। এসকল জনগণের মধ্যে রয়েছে:

  • কৃষক: কৃষি কাজপর সাথে নিয়োজিত থাকলে তিনি লোন পাবার জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন।
  • ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী: যে সকল উদ্যোগতা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চান তারা লোন নিতে পারবেন। 
  • মহিলা উদ্যোক্তা: এ নারীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু লোন রয়েছে যা তারা তাদের নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 
  • নিম্ন ও মধ্য এর পরিবার: আর্থিক সচ্ছলতার জন্য তারা লোন গ্রহণ করে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন তাদের পরিবারের উন্নয়নের লক্ষ্যে। 
  • দুর্যোগের শিকার: বাংলাদেশে প্রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন এবং এই দুর্যোগে দ্রুত শয়তান জন্য যারা লোন গ্রহণ করতে চান তারা আমরা তো এই সংস্থাটি থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 

বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোনের সুবিধা

বাংলাদেশের অনান্য এনজিও এর মতো বুরো বাংলাদেশ এনজিও এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে রয়েছে যা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের পৃথক করেছে।

  • সাপ্তাহিক বা মাসিক আকারে কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করার সুবিধা। 
  • সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করার সুবিধা। 
  • নারী উদ্যোগতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। 
  • দ্রুত লোন পাওয়ার সুবিধা। 
  • প্রতিযোগিতা মূলক ইন্টারেস্ট হার। 
  • কোন লুকানো চার্জ নেই। 

বহুল জিজ্ঞেসাসিত প্রশ্নসমূহ (FAQ)

শেষ কথা

প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে “বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি “ সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি বিস্তারিত তথ্য জানাতে পেরেছি। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যে কোন প্রয়োজনে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *